পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে সুজন আলী (৩৫) নামের এক গরু ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৪ জুলাই) রাতে রংপুর শহরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
বুধবার (৫ জুলাই) বিকেলে উপজেলার ৫নং দেবনগর ইউনিয়নের ডাঙ্গাপাড়ায় তার দাফন সম্পন্ন হয়েছে। তিনি ওই এলাকার আনোয়ারুল হকের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার (৩ জুলাই) রাতে দেবনগর সীমান্তের ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের আওতাধীন সুকানী বিওপির ৪৪০/৪ এস পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশ করতে গিয়ে সুজন গুলিবিদ্ধ হন। খবর পেয়ে সেখান থেকে আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তার পরিবারের লোকজন রংপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে ভর্তি করেন।
মঙ্গলবার রাতে সুজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পুলিশি ঝামেলা এড়াতে নিহতের পরিবার মঙ্গলবার রাতেই তাকে গোপনে দাফন করার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশ ওই বাড়ি থেকে মরদেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিক সুরতহাল শেষে বুধবার (৫ জুলাই) সকালে মরদেহটি ময়নাতদন্ত করতে জেলা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
দেবনগড় ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোলেমান আলী জানান, গত সোমবার রাতে ভারতে গরু আনতে সুজন আলীসহ স্থানীয় কয়েকজন ৫৬ বিজিবির অধীনস্থ সুকানী বিওপির বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেন।
এ সময় ভারতীয় মদনবাড়ী বিওপির বিএসএফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে গুরুতর আহত হন সুজন আলী। তাকে উদ্ধার করে রংপুরের এক প্রাইভেট ক্লিনিকে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল মঙ্গলবার রাতে তিনি মারা যান।
তেঁতুলিয়া মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সাঈদ চৌধুরী বলেন, আমরা ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার বেলা ১১টায় ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করি। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তবে নিহতের পরিবার থেকে এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।
নীলফামারী ৫৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফট্যানেন্ট কর্নেল আসাদুজ্জামান হাকিম জানান, সীমান্তে গুলিবিদ্ধ হয়ে একজনের মৃত্যুর খবর পেয়েছি। কীভাবে কার গুলিতে তিনি মারা গেছেন তা নিশ্চিত হতে বিজিবি খোঁজ নিচ্ছে।
পিকে/এসপি
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া সীমান্তে
বিএসএফের গুলিতে ১ বাংলাদেশীর মৃত্যু
- আপলোড সময় : ০৫-০৭-২০২৩ ১০:০৫:৪৮ অপরাহ্ন